ই-বুক কী, কীভাবে পড়বেন?
সংক্ষেপে বলতে গেলে কাগুজে বইয়ের অনলাইন ভার্সনই ই-বুক। আরেকটু বিশদ করে বললে ইলেকট্রনিক ফরম্যাটের বই; যা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সাহায্যে পড়তে হয়, সেটাই ই-বুক। গানের যেমন MP3, .amr, .midi এ ধরনের ফরম্যাট থাকে, ই-বুকেরও বিভিন্ন ফরম্যাট থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ফরম্যাট হচ্ছে .pdf। এর কারণ এই ফরম্যাট বানানো যেমন সহজ, আবার চাইলে ওয়াটার মার্কও দেওয়া যায়, যাতে আপনার ডকুমেন্ট কেউ নিজের বলে না চালাতে পারে। আবার কিছু অ্যাপ দিয়ে এই ফরম্যাটের লেখায় মার্কিংও করা যায়। ঠিক যেমন আমরা কাগজের বইয়ে কলম দিয়ে দাগাই তেমন। পিডিএফ ফরম্যাটের সুবিধা যেমন আছে, কিছু অসুবিধাও আছে। যেমন লেখার ফন্ট ফিক্সড থাকে। পড়তে চাইলে অনেকসময় ছোটফন্টের লেখা জুম করতে হয়। এতে অনেকেই বিরক্ত হন, পড়ার ইচ্ছেটাও চলে যেতে পারে। আর যদি সেই পড়ার ডিভাইসটি মোবাইল হয়, এক্ষেত্রে বিরক্ত হওয়ার আশঙ্কা আরও বেশি।
এর সমাধান একভাবে বলা যায় ePub। এটিও ডকুমেন্টের একটি ফরম্যাট। ইংরেজি বইয়ের পাঠক কমিউনিটির মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ফরম্যাট হলো ePub। বর্তমানে বাংলাতেও অনেকেই epub ফরম্যাটের জন্য কাজ করছেন। তো এখানে pdf তুলনায় কী সুবিধা? কম্পিউটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে যেমন লেখার ফন্ট বড়-ছোট করা, বোল্ড করা, হাইলাইট করা যায়। এই সুবিধা পিডিএফ ফরম্যাটে না থাকলেও epub-এ আছে। এ কারণেই এই ফরম্যাটটি পড়ুয়াদের কাছে এতটা জনপ্রিয়। আপনি ছোট স্ক্রিনে পড়লেও চোখ কচলিয়ে ফোন ডিসপ্লে কাছে চোখ নিয়ে লেখা পড়তে হবে না, কারণ প্রয়োজন অনুযায়ী ডকুমেন্টের ফন্ট বড়-ছোট করতে পারবেন।
Epub ছাড়াও mobi, .txt, .djyu, .pdb, tr2, .lit, .aeh- এমন আরও অনেক ফরম্যাটের ই-বুক রয়েছে। বিশেষ করে .mobi ফরম্যাট যেমন জনপ্রিয় kindle- ই-বুক রিডারে ব্যবহার করা হয়।
এখন কথা হলো এত সব ফরম্যাটের ই-বুক আপনি পড়বেন কীভাবে? কারণ মোবাইলে সব ফরম্যাট অ্যাপ ছাড়া সাপোর্টও করবে না। আর করলেও মোবাইলের সাইজ ও ব্রাইটনেস আপনার চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। বইপোকাদের জন্য এই সমস্যার সমাধান দিচ্ছে ইবুক রিডার। তুলনামূলক চোখের কম ক্ষতি করে দীর্ঘ সময় বই পড়ার জন্য ইবুক রিডার অত্যান্ত জনপ্রিয়। কারণ ইবুক রিডারে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক ই-ইংক টেকনোলজি। যা আপনার ডিভাইসের মাধ্যমে পড়ার অভিজ্ঞতাকে একদম বদলে দেবে। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কম্পিউটার বা যে কোনও ধরনের স্ক্রিন নির্ভরতা যেখানে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। সেখানে তুলনামূলক চোখকে একটু স্বস্তি দিতে চিকিৎসকরাও এই টেকনোলজির ডিসপ্লে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে যারা ‘ড্রাই আই’ সমস্যায় ভুগছেন, তাদের চিকিৎসকরা ই-ইংক টেকনোলজির ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
বিশ্বব্যাপী বইপোকা কিংবা চোখের সমস্যার কারণে যারা এ ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করছেন, তাদের কাছে Boox, Amazon Kindle, Remarkable, Rakuten Kobo, Fujitsu, Supernote, Dasung, Meebook এবং Bigme প্রভৃতি ব্র্যান্ডগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। দেশের বাজারেও এসব ডিভাইস সরবরাহ করছে মাল্টিমিডিয়া কিংডম। আমাদের কাছে এসব ব্র্যান্ডের সব ধরনের অথোরাইজড ডিভাইস পাচ্ছেন ওয়ারেন্টিসহ। বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ই-ইংক টেকনোলজির প্রতিষ্ঠান বুক্সের (Boox) অথোরাইজড ডিস্ট্রিবিউটর মাল্টিমিডিয়া কিংডম। এই ব্র্যান্ডের ই-বুক রিডার থেকে শুরু করে ই-ইংক মনিটরও সরবরাহ করে থাকি আমরা।
FeaturedBOOX Poke4 Lite
0- Resolution : 758 x 1024
- RAM : 2GB (LPDDR4X)
- ROM : 16GB EMMC
- OS : Android 11
FeaturedBOOX Poke 5
0- Resolution: 1072 x 1448
- RAM: 2GB (LPDDR4X)
- ROM: 32GB EMMC
- OS: Android 11
FeaturedBOOX Poke 3
0- Resolution : 1448×1072
- RAM : 2GB (LPDDR4X)
- Memory :32GB
- Screen Size : 6" HD E-Ink Carta
- Button : Power
FeaturedBOOX Leaf
0- Resolution: 1680×1264
- RAM: 2GB (LPDDR4X)
- ROM:32GB
- OS: Android 10.0